বিপদ বেশি, সহায় কম
কথায় বলে, ‘বিপদের বন্ধুই প্রকৃত বন্ধু।’ আমাদের জীবনে বিপদ আছে পদে পদে; কিন্তু বিপদের বন্ধু কি আছে? দেশের কোনো নাগরিক বিপদে পড়লে সাহায্য চাইবে রাষ্ট্রের কাছে; রাষ্ট্রই ব্যবস্থা রাখবে উদ্ধারের—এটাই তো স্বাভাবিক। সে ব্যবস্থা আছেও। কিন্তু কতটা কার্যকর? দেশের মানুষ কি বিপদে পড়লে রাষ্ট্রযন্ত্রের শরণাপন্ন হয়? সাহায্য পায়? পেলেও কতটা? কোনো পরিসংখ্যান আছে কি না জানা নেই। কালের কণ্ঠ চেষ্টা করেছে নিজস্ব আয়োজনে দেশব্যাপী জরিপ অনুসন্ধান চালিয়ে এবিষয়ক তথ্য-উপাত্ত বের করার। এর ভিত্তিতে যে ধারণাচিত্র পাওয়া গেছে, তার বিস্তারিত প্রতিবেদন তুলে ধরা হলো
ঘটনাটা বগুড়ায়। ২০১৬ সালের জানুয়ারি মাসে এক সড়ক দুর্ঘটনায় বাবা মারা যান, আহত মা হন চিরতরে পঙ্গু। অসহায় দুই বোন তখন হাই স্কুলে পড়ে। মায়ের চিকিৎসার জন্য ব্যয় হয় অনেক টাকা। যৌথ পরিবারে চাচারা দুই বোনের পড়ালেখা আর চালাতে চান না। জানান, যৌথ সম্পত্তিতে তাদের বাবার যে অংশ ছিল, তা এরই মধ্যে তাদের মায়ের চিকিৎসায় ব্যয় হয়ে গেছে। তাদের আর কিছু নেই। কিন্তু যেকোনো মূল্যে লেখাপড়া চালিয়ে যাওয়ার সংকল্প নিয়ে অসুস্থ মাকে নানার আশ্রয়ে রেখে একপর্যায়ে বগুড়ার জলেশ্বরীতলার বাড়ি ছাড়ে দুই বোন। ঢাকায় এসে দূরসম্পর্কের এক চাচার বাসায় ওঠে, যিনি ঢাকায় এলে চাকরি দেওয়ার নিশ্চয়তা দেন। সপ্তাহখানেকের মধ্যেই এক রাতে সেই বাসায় ধর্ষণের শিকার হয় বড় বোন। পরদিনই সেই বাসা ছেড়ে গার্মেন্টকর্মীদের একটা মেসে ওঠে দুই বোন। বড় বোন খিলগাঁওয়ের একটি গার্মেন্টে চাকরি নেন, ছোট বোন কলেজে ভর্তি হন। ধর্ষিত হওয়ার মতো বিপদে পড়েও আইনের আশ্রয় নেননি মেয়েটি।
0 মন্তব্য(গুলি):